বাঙালি জাতির অন্যতম বড় উৎসব বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে ঝালকাঠিতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় শিশু পার্ক মিলনায়তনে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালায় হা-ডু-ডু খেলা যুক্ত করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। খেলোয়াড়দের "টাক টাক" ধ্বনিতে চারপাশ ঘিরে থাকা জনতা আরও উৎসাহিত হন।
এই খেলায় অংশ নেয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। কৌশলী ভূমিকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দল চ্যাম্পিয়ন হয় এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর রানার্স-আপ হয়। রেফারি ও খেলোয়াড়দের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়।
জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, "ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলা এখন প্রায় বিলুপ্ত। নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে এবং ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই খেলার আয়োজন করা হয়েছে।"
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) রোববার রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি হলরুম এবং সরকারি গণগ্রন্থাগারে।
পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) সোমবার সকাল ৯টায় কালেক্টরেট চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় শতকণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও "এসো হে বৈশাখ" পরিবেশনা। পরে জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের হয়ে সাধনার মোড়, সদর চৌমাথা হয়ে শিশু পার্ক উন্মুক্ত মঞ্চ চত্বরে এসে শেষ হয়।
এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য, এনজিও কর্মী ও সর্বসাধারণ।
সকাল সাড়ে ৯টায় শিশু পার্ক উন্মুক্ত মঞ্চে উদ্বোধন করা হয় দেশীয় ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতির প্রতিফলনমূলক লোকজ মেলা। সকাল ১১টায় হা-ডু-ডু প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল ৫টায় বাউল প্রহর এবং সন্ধ্যা ৭টায় জারি গান সন্ধ্যা উদযাপন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আশিক