বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দিনাজপুর সদরের চুনিয়াপাড়া বাজার কালী মন্দির ও দুর্গা মন্দির কমিটির উদ্যোগে গ্রামবাংলার জনপ্রিয় গমিরা খেলা হয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এ খেলা দেখতে ভিড় করেন। সোমবার বিকালে দিনাজপুর সদরের চুনিয়াপাড়া বাজার কালী মন্দির ও দুর্গা মন্দিরের সামনে এ খেলা হয়।
চরক পূজায় ভক্তের ঢল : প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী চরক পূজা ও মেলা ভক্তদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। বিভিন্ন এলাকায় সোমবার হয় এ চরক পূজা ও এক দিনের মেলা। সবার দৃষ্টি ছিল ৩০ ফুট উচ্চতার একটি কাঠের দণ্ডের দিকে।
সেখানে আড়াআড়ি করে বাঁশ বেঁধে তাতে ঝোলানো লোহার বড় দুটি বড়শি। সেই বড়শি পিঠের চামড়ায় গেঁথে শূন্যে ঘুরছিলেন শ্রী শম্ভু চন্দ্র রায় (৫৫)। চৈত্র সংক্রান্তি তিথিতে দেবতাকে তুষ্ট করতে নিজেকে উৎসর্গ করেন তিনি। তিনি ১৭ বছর ধরে চড়ক পূজার সন্ন্যাসী হয়ে দেবতাকে খুশি করার চেষ্টা করছেন। শূন্যে ঘোরার সময় তিনি ফুল-জল, আবির, কলা, বাতাসা, নকুলদানা ইত্যাদি ছিটিয়ে দিচ্ছেন ভক্ত-দর্শকের দিকে। দর্শনার্থীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন তা সংগ্রহ করার জন্য। এ সময় চলছিল উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি। বাজছিল ঢাকঢোল।