নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে নিখোঁজের একদিন পর জুঁই খাতুন (৭) নামে এক শিশুর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে চাটমোহরের রামপুর বিলের একটি ভুট্টা খেতে তার লাশ পাওয়া যায়।
জুঁই নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিরুল ইসলামের মেয়ে ও গাড়ফা আজেদা নূরানী কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থী। জুঁইকে ধর্ষণের পর পরণের প্যান্ট গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর অ্যাসিড দিয়ে মুখ ঝলসে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
শিশুটির মা মোমেনা খাতুন জানান, সোমবার বিকালে জুঁই দাদির বাড়িতে বেড়াতে যায়। দাদির হাতে রান্না করা সেমাই খাবে এবং রাতে সেখানেই থাকবে বলেছিল। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে জুঁই ওখানে যায়নি। এরপর চারদিকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে ভুট্টার জমিতে জুঁইয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে রামপুর বিলের একটি ভুট্টা ক্ষেতে জুঁই খাতুনের বিবস্ত্র লাশ পড়ে আছে। মুখে পোড়া ক্ষত কালো চিহ্ন। পরনের প্যান্ট গলায় পেঁচানো।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায়। লাশ উদ্ধার হয়েছে চাটমোহরের সীমানায়। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং মুখ অ্যাসিডে পোড়ানো হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই