নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক কিশোরকে আটক রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে, সোমবার উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহি উদ্দিনের ছেলে আবদুল্লা আল মামুন (২৫), একই ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে আকাশ (২১), একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার বাড়ির মৃত তাহেরের ছেলে মো. পারভেজ হোসেন (৩০), নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফয়েজ উল্যাহ মেম্বার বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের ছেলে অহিদুল ইসলাম (২৪) ও বাটইয়া ইউনিয়নের রশিদ দর্জি বাড়ির মো. সালাউদ্দিনের ছেলে মো. ইউনুস হোসেন রাজু (২২)।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, সোমবার উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. তাফসীরুল ইসলাম ওরফে রাফসানকে (১৯) দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আটক রাখে গ্রেফতার আসামিরা। তারা ভিকটিমকে মাদকসহ আটক করে বলে দাবি করে। এরপর আটক কিশোরের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে কল করে প্রথমে ডিবি ও পরে সেনাবাহিনী পরিচয় দিয়ে তার বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তার ছেলেকে মারধরের হুমকি দেয়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, দাবিকৃত টাকা বাটইয়া ইউনিয়নের কৃঞ্চারটেক মসজিদের সামনে রাখার জন্য বলে। ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা তাদের জন্য ৭০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রশাসনের লোক আছে বলে স্থান পরিবর্তন করতে থাকে চাঁদাবাজরা। পরে ভিকটিমকে মাইজদী নিয়ে ডিবি পুলিশকে বুঝিয়ে দিয়েছি বলে জানায়। এতে রাফসানের বাবার সন্দেহ হয়। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন। একই সাথে তিনি সেনাবাহিনী ও পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।
পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোবাইলের কল রেকর্ড শুনে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোররের বাবা মো. সফি উল্যাহ (৬০) বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ৩/৪ জনকে।
কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মন্জুর আহমদ বলেন, এ ঘটনায় চাঁদাবাজি আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। পাঁচজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পলাতক রাকিব নামে অপর আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই