ইউরোপজুড়ে ২০২৪ সালের ঝড় ও ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চার লাখের বেশি মানুষ।
জলবায়ু সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, জীবাশ্ম জ্বালানির দূষণের প্রভাবে রেকর্ড পরিমাণ উষ্ণতম বছর কাটিয়েছে গোটা ইউরোপ। গত বছরের বন্যায় ইউরোপে ব্যাপক সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। অনেকের গাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সেতুও ধসে পড়েছে। যাতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে স্থানীয় মানুষের স্বাভাবিক জীবন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালে ইউরোপে যে ঝড় এবং বন্যা হয়েছে তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চার লাখ ১৩ হাজার মানুষ। গত বছর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয় সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে। যথাক্রমে এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মধ্য ইউরোপ এবং স্পেন। বন্যায় মহাদেশজুড়ে ৩৩৫ জনের মধ্যে ওই দুই মাসেই ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আগের বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে এমন ভয়াবহ ও শক্তিশালী প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছে ইউরোপ। গত বছর মহাদেশটিতে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণও ছিল অনেক বেশি।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) মহাপরিচালক সেলেস্তে সাউলো বলেছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ‘প্রতি ডিগ্রির ভগ্নাংশও’ বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তবে সমাজগুলোকে অবশ্যই উষ্ণতম বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সবচেয়ে লম্বা সময় তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ। টানা ১৩ দিন স্থায়ী ওই সময় উষ্ণতায় জ্বলে উঠেছিল ওই অঞ্চল। অন্যদিকে উচ্চ তাপপ্রবাহের ফলে মহাদেশ জুড়ে ভয়াবহ দাবানল দেখা দেয়। যাতে প্রায় ৪২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছর ইউরোপের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা পুড়ে যায়। সেপ্টেম্বরে পর্তুগালে ভয়াবহ দাবানলের ফলে এক সপ্তাহে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমি পুড়ে যায়। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/একেএ