মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনে ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দেশটির রাজধানী সানার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১২৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ। আহত হয়েছেন আরও ২৪৭ জন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।
সোমবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মার্কিন বাহিনীর হামলায় শুধু সামরিক স্থাপনাই নয়, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, শিল্প-কারখানা ও জনপরিকাঠামোও টার্গেট করা হয়েছে। অনেক পরিবার একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
গত রোববার সানা প্রদেশের একটি সিরামিক কারখানায় মার্কিন হামলায় ছয়জন নিহত ও ৩০ জন আহত হন। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নাগরিক জীবন ও অবকাঠামোর ওপর বারবার হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এসব অপরাধের দায় সম্পূর্ণভাবে আমেরিকার।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তারা হুতি বিদ্রোহীদের হামলা প্রতিহত করতেই এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, বিশেষ করে ইসরায়েল ও লোহিত সাগরের বাণিজ্যপথ রক্ষার জন্য। তবে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী বলছে, এই আক্রমণ আসলে ব্যর্থ এক প্রচেষ্টা, যা সাধারণ মানুষকেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
হুতি গোষ্ঠীর দাবি, যতই হামলা হোক, তারা পিছপা হবে না। গাজায় ইসরায়েলের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে তাদের সামরিক অভিযান চলতেই থাকবে। তাদের ঘোষণা, আমাদের নেতৃত্ব, জনগণ ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে মজলুম ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবেই—পরিণাম যাই হোক না কেন।
এদিকে রবিবার হুতি বাহিনী ইসরায়েলের দিকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও একটি ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করে। এ ঘটনায় জেরুজালেম ও তেলআবিবে সতর্ক সংকেত বাজানো হয়। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা মাত্র একটি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে তা ভূপাতিত করেছে।
হামাস এ ঘটনায় হুতিদের প্রশংসা করে জানিয়েছে, ইয়েমেনের সাহসী মানুষদের এই সম্মানজনক অবস্থান ফিলিস্তিনিরা কখনও ভুলবে না।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল