বছর ঘুরে আবারো এলো বাঙালির প্রাণের উৎসব - বাংলা নববর্ষ। এই উৎসব বাঙালি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির এক অপূর্ব মিলনমেলার প্রতিচ্ছবি। বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে ঐতিহ্যবাহী ঢাক ঢোলের সমন্বয়ে আজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় ফ্ল্যাশ মবের আয়োজন করা হয় ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে।
গতকাল রবিবার শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলার আজ দ্বিতীয় দিনে শিশু-কিশোরসহ সকল বয়সের দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতেই এই ফ্ল্যাশ মব, ঢাক-ঢোলের, বায়োস্কোপ, হাওয়াই মিঠাইয়ের আয়োজন। মেলা চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।
ঢাক-ঢোলের তালে, শৈশবের বায়োস্কোপের আনন্দ আর রং-তুলির আঁচড়ে বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে জমজমাট হয়ে উঠেছে বৈশাখী মেলা।
হাওয়াই মিঠাই, রঙিন চুড়ি, নানা রঙের ফুল, দেশি-বিদেশি আধুনিক ফ্যাশনের পোশাক, সাথে বাঙালি ঐতিহ্যের খাবারের অভূতপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে।
মেলা ও উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে অংশ নিয়েছে দেশি-বিদেশি সেরা ফ্যাশন ব্র্যান্ড। ফ্যাশন হাউজগুলো দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতে বিভিন্ন পণ্যের ওপর দিচ্ছে বিশেষ ছাড়।
মেলায় থাকছে : বায়োস্কোপ, হাওয়াই মিঠাই, চুড়ির মেলা, ফুল, দেশি বিদেশি ফ্যাশন ব্রান্ড - বিটু, ইনফিনিটি মেগা মল, শিশু পরিবহন, লাইভ শপিং, ভোগ বাই প্রিন্স এবং স্প্লাশ।
এছাড়াও বৈশাখী ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই প্রথমবার বিভিন্ন ধরনের দেশীয় খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। লেভেল-৮ এর চড়ুই ভাতির আড্ডা, পিঠাপুলির আসর ও শরবতের হাঁড়ি ফুড স্টলে পাওয়া যাবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ খিচুরি, রূপচাঁদা ফ্রাই, বগুড়ার দই, চার রকমের ভর্তা, ডাবের পুডিং, চার প্রকার পিঠা- পাঠিসাপ্টা, নলডা, মালমোয়া, নিমকি, চিনি ও গুড়ের মুড়ালি, কদমা/তিলা, চিনির হাতি ঘোড়া, মুড়ির মোয়া, নাড়ু, জুস, কুষ্টিয়ার কুলফি, হাওয়াই মিঠাই, ঢোল ও ঢুলির।
শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে সকলের মাঝে তুলে ধরার প্রয়াসে বর্ণিল বৈশাখী মেলা ও উৎসব আয়োজন করেছে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল। কেনাকাটা, থিম পার্কে সময় কাটানো কিংবা মুভি দেখার পাশাপাশি চলবে বৈশাখী উৎসবের বর্ণিল আয়োজন। এর মাধ্যমে আধুনিকতার সাথে বাঙালি ঐতিহ্যের অভূতপূর্ব মেলবন্ধন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আয়োজকরা।
গতকাল রবিবার বৈশাখী মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের বিসিডিএলের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ এহসান রেজা। এ সময় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।