যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময়ের একের পর এক বিমান ও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মধ্যে এই দুর্ঘটনাটি সর্বশেষ। এর আগের সপ্তাহে হাডসন নদীতে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ছয়জন নিহত হন। তারও আগে গত জানুয়ারিতে ওয়াশিংটনে সামরিক হেলিকপ্টার ও যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষে ৬৭ জন মারা যান।
এছাড়া গত শুক্রবার ফ্লোরিডার বোকা রেটন বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর একটি হালকা বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনজন নিহত হন। এই ধারাবাহিক বিপর্যয়ের সর্বশেষ সংযোজন হলো নিউইয়র্কে ছয়জন আরোহীসহ একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা।
মিৎসুবিশি এমইউ-২বি৪০ সংস্করণের বিমানটি শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরের পরপরই নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া কাউন্টি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরের কোপেইক এলাকার একটি খোলা মাঠে বিধ্বস্ত হয়।
জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডের (এনটিএসবি) কর্মকর্তা টড ইনম্যান জানান, ঘটনাটি ছিল একটি “প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা”, এবং দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে। নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে জানা যায়, বিমানে থাকা ছয়জনই ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন পাইলট ও নিউরোসার্জন মাইকেল গ্রফ, তার স্ত্রী সার্জন জয় সাইনি, তাদের দুই সন্তান ও সন্তানদের সঙ্গীরা। পরিবারটি একত্রে ২৫তম জন্মদিন ও পাসওভার উদযাপনে যাচ্ছিল। টড ইনম্যান জানান, বিমানটি আছড়ে পড়ার আগ পর্যন্ত অক্ষত ছিল, তবে ধাক্কার তীব্রতায় সেটি “চাপা খেয়ে ধসে যায় এবং মাটিতে গেঁথে যায়”।
তিনি বলেন, পাইলট কলাম্বিয়া কাউন্টি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি মিসড অ্যাপ্রোচ (ব্যর্থ অবতরণ প্রচেষ্টা) রিপোর্ট করেন এবং পুনরায় অবতরণের জন্য নির্দেশনা চান। দুর্ঘটনার আগে আবহাওয়া খারাপ হচ্ছিল এবং দৃষ্টিসীমা কমে যাচ্ছিল বলেও জানান ইনম্যান।
তিনি আরও জানান, পাইলট ছিলেন অভিজ্ঞ, এবং বিমানটির ককপিট সম্প্রতি আধুনিকায়ন করা হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/আশিক