জামায়াত আন্তরিকতার পরিচয় দিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সরকারের পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জামায়াত প্রথম ছোবলটা দিয়ে বললো- এক জালিমকে সরিয়ে কি আরেক জালিম নিয়ে আসব?
নিলুফার চৌধুরী বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির ১৭ বছর এলায়েন্স ছিল। জামায়াতকে আওয়ামী লীগ টর্চার করেছে, বিএনপিকেও অনেক টর্চার করেছে বড় দল হিসেবে। আওয়ামী লীগ না থাকলে বিএনপির ক্ষমতা কেউ আটকাতে পারবে না, এমনকি আওয়ামী লীগ থাকলেও আটকাতে পারবে না- কিন্তু আওয়ামী লীগ যেভাবে ভোটের ছক সাজিয়েছিল সেভাবে আজীবন তারাই ক্ষমতায় থাকবে। সেই সময় জামায়াতের অন্যরকম দুর্দিন ছিল। সেই সময়টা বিএনপি পূর্ণ মাত্রায় জামায়াতকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছে।
সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টকশোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। নিলুফার বলেন, মানুষ ওপেন বলতো, আওয়ামী লীগসহ দেশে বিদেশে বিভিন্ন শক্তিরাও বলতো যে- জামায়াতকে বিএনপি ছাড়লে বিএনপির এই সমস্যাটা হতো না। এরপরেও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জামায়াতকে ছাড়েননি। নিজের লাভটুক সুখটুক দেখেননি।
তিনি বলেন, জামায়াত সম্পর্কে আগে থেকেই যেটা জানতাম, ধারণার মধ্যে ছিল কিন্তু তারপরেও মনে হতো যে আমাদের সঙ্গে এমন করবে- তাদের এই দুর্দিনে আমরা থাকার পরেও। জামায়াত সবাইকেই দাওয়াত দিয়েছে, বিএনপিকে দেয়নি। এবি পার্টিকে দাওয়াত দেয়নি। সেটার সঙ্গে অন্য হিসাব আছে। জামায়াত মনে করে, এবি পার্টি জামায়াতকে ফেলে, জামায়াতকে ভেঙে চলে আসছে। এই ১১-১২ মাসে বিএনপি যত প্রোগ্রাম করেছে বিএনপি তাদের দাওয়াত দিয়েছে। কিন্তু বিএনপিকে দাওয়াত তো দেয়নি, বরং বিএনপিকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, একটা পর্যায়ে জামায়াতের আমির অসুস্থ হলেন। এটা শুনে বিএনপির মহাসচিব তাকে দেখতে গিয়েছেন উনার সহকর্মী ডক্টর মঈন খানকে সঙ্গে নিয়ে। এই যে সৌহার্দ্যটা, যদিও আমরা বলি এবং এটাই সত্যি যে এক হাতে তালি বাজে না। কিন্তু আমরা চেষ্টা করি। আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু উনারা উনাদের আন্তরিকতার পরিচয় দিতে পারেনি। বড় মনের পরিচয় দিতে পারেনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ