জনবল, ওষুধসংকটসহ নানান কারণে ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এসব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র যেন ভোগান্তির অপর নাম। এতে স্বাস্থ্যসেবাবঞ্চিত হচ্ছে এখানকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৫৪টি ইউনিয়নে ১৪৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে ৪৬টি। সংশ্লিষ্টরা জানায়, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ২২ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করার কথা। তবে ঠাকুরগাঁওয়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে শুধু দুই থেকে তিন রকমের ওষুধ মেলে। একই অবস্থা জেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতেও। নিয়ম মতে, শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের ছয় দিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা এখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের। কিন্তু বাস্তবে তা করা হয় না। সেবাপ্রত্যাশীরা জানান, অধিকাংশ ওষুধই পাওয়া যায় না। তবে কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা বলছেন ওষুধসংকটের কারণে পড়তে হয় বিভিন্ন সমস্যায়। রহিমানপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা জয়নুল বলেন, ‘প্রায় সময় এসে দেখি ক্লিনিক বন্ধ। আজও এসেছি বউকে নিয়ে, একই অবস্থা। ওষুধও নাই। আপনারা আসার খবর পেয়ে এখানে কর্মীরা কই থেকে যেন দৌড়ে এলো।’ নারগুন এলাকায় খাদেমুল ইসলাম বলেন, এখানে ডাক্তার নেই, ওষুধও নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল বাসার মো. সায়েদুজ্জামান বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ সমস্যা, এটা ঠিক না। তবে ক্লিনিকে সঠিক সময়ে উপস্থিতির বিষয়টি আমরাও শুনেছি। সব বিষয় দেখা হবে।’ জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শামসুদ্দীন মোল্লা বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোয় জনবলসংকট রয়েছে। এটা শুধু আমাদের জেলায় তা নয়, পুরো দেশেই একই অবস্থা। পাশাপাশি ওষুধ নাই। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’