বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনটিকে বিএনপি নিজেদের দুর্গ বলে মনে করে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে এ দুর্গকে দখলে রাখতে দলটির পাঁচ নেতা মনোনয়ন চাইছেন। তারা হলেন চারবারের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, তার ছেলে জেলা বিএনপির সদস্য আসিফ সিরাজ রব্বানী, জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা জানে আলম খোকা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কে এম মাহবুবার রহমান হারেজ, ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম তৌহিদুল আলম মামুন।
অন্যদিকে জামায়াত এ আসনে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা দবিবুর রহমানকে একক প্রার্থী করেছে। এ ছাড়া এ আসনে বাসদ থেকে সন্তোষ সিংকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নাগরকি ঐক্য থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিল্পপতি মাহবুব আলী প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি বিএনপি জোটের প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে ধারণা পাওয়া গেছে, বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। আর বিএনপির থেকে মনোনয়ন পেতে একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকলেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও তার ছেলে জেলা বিএনপির সদস্য আসিফ সিরাজ রব্বানী। দুর্গ পুনরুদ্ধারে জি এম সিরাজ ছেলেকে নিয়ে মাঠে রয়েছেন। পাশাপাশি অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজেদের জানান দিতে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। বিএনপি নেতা গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, ত্রয়োদশ নির্বাচনে বাবা-ছেলে দুজনই ধানের শীষের কান্ডারি হওয়ার জন্য মাঠে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাকে খুশি মনোনয়ন দেবেন তার জন্য কাজ করব।
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মাওলানা দবিবুর রহমান বলেন, আমি নির্বাচিত হলে সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি শেরপুর-ধুনটের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
নাগরকি ঐক্যের প্রার্থী রাইয়ান অ্যাপারেলস লিমিডেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করলে প্রথমেই শিক্ষিত বেকার সমস্যার সমাধান করবেন। পূর্ব বগুড়ায় যমুনার ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা করবেন।