পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে শিশু-কিশোরদের খেলার মাঠ দখল করে গড়ে ওঠা অস্থায়ী মার্কেট উচ্ছেদ করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। আজ সোমবার দুপুরে সূত্রাপুর থানা বিএনপি ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের নেতৃত্বে মাঠটি দখলমুক্ত করা হয়। এ সময় মাঠের ফটকে ‘শিশুদের খেলাধুলার জন্য সংরক্ষিত’ লেখা ব্যানারও টাঙানো হয়। এমন উদ্যোগে স্থানীয়রাও খুশি।
জানা যায়, লক্ষ্মীবাজারে শিশু-কিশোরদের খেলার মাঠ দখল করে একদল বিএনপির নাম করে ব্যানার লাগিয়ে অস্থায়ী দোকানপাট গড়ে তোলে। পাঁচ দিন না যেতেই সেখান থেকে তাদের উচ্ছেদ করলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সোমবার দুপুরে সূত্রাপুর থানা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মাঠটি দখলমুক্ত করেন।
পুরান ঢাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাঠটি পুনঃরায় ফেরত পেয়ে শিশু-কিশোরেরা আগের মতো খেলাধুলা করতে পারবে। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ মাঠ দখল করতে না পারে কখনো সে ব্যাপারে তাঁরা সচেতন থাকবে।
এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ আজিজুল ইসলাম বলেন, এই মাঠ আর কেউ দখল করতে পারবে না। ৪২ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা এখন থেকে মাঠটির দেখভাল করবেন। বিএনপির নামে এখানে কেউ দখল বা চাঁদাবাজি করলে তা মেনে নেব না। যেকোনো মূল্যে শিশুদের মাঠ রক্ষায় আমরা সবসময় কাজ করে যাব স্থানীয়দের নিয়ে।
এসময় উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয় ৪২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসূদ আফসার, সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান এবং ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজী আবদুল কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ সহ স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
৪২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান বলেন, এখানে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি দখলদার চক্র এ কাজটি করেছে। আমরা জানার পরপরই উপরমহলে জানালে আজ তাদের নির্দেশে মাঠটি পুনঃরায় দখলমুক্ত করেছি।
১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির পরিচয়ে একটি চক্র মাঠ দখল করে অস্থায়ী মার্কেট তৈরি করে এবং প্রায় ৩৬ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছে দোকান ভাড়া দেয়। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ থাকলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেননি। এই বিষয়টি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নজরে এলে তাঁরা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, 'লক্ষ্মীবাজার সমাজকল্যাণ সংঘ' নামের ওই নামসর্বস্ব সংগঠন মাঠটি দখল করে। চক্রটি গত কয়েক বছরে ঈদ মেলা ও বৈশাখী মেলার আয়োজন করে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে এ মাঠ থেকে। সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২৫-৪০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে মাঠে প্রায় ৩০টি দোকান বসানো হয়। সপ্তাহে প্রতিটি দোকান থেকে ভাড়া নেওয়া হতো এক থেকে দেড় হাজার টাকা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল