রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের মৌলিক রদবদল করার ম্যান্ডেট রাখে না। তাদের কাজ সংস্কারের খসড়া তৈরি, আলোচনার প্ল্যাটফর্ম, প্রশাসনিক স্বাভাবিকতা ফেরানো এর বেশি নয়। তাই আগামী নির্বাচনেই হঠাৎ করে আনুপাতিক পদ্ধতি চালু এটা প্রায় অবাস্তব।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, আস্থা একবার ভাঙলে ওটা আর ঘোষণায় জোড়া লাগে না। অন্তর্বর্তী সরকারের একটি মৌলিক কাজ ছিল পুলিশকে শাস্তিমুখী রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে প্রকৃত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনা। টহলে গেলে তারা যেন সংখ্যায় কম না থাকে। সুরক্ষিত থাকে। ঘটনাস্থলে ভিডিও অডিও উপস্থিত থাকে। অপারেশনাল প্রোটোকল যেন হয় স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়কে দৃশ্যমান নিরাপত্তা দিতে হবে যাতে তারা বুঝতে পারে রাষ্ট্র তাদের পাশে আছে। সমান্তরালে নাগরিকদের দিকেও বার্তা যেতে হবে। মব জাস্টিস স্বাভাবিক নয় বরং শাস্তিযোগ্য। সমস্যার সমাধান আইনের পথে। আইনশৃঙ্খলার এই সামাজিক কন্ট্রাক্টটাই এখন ভেঙে আছে।
জিল্লুর আরো বলেন, রাজনীতির ময়দানে একসঙ্গে চলছে আরেক টানাপড়েন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন কোটা সংস্কার থেকে হাসিনা সরকারের পদত্যাগে পৌঁছালো তখনও কারো মুখে আনুপাতিক ভোট ব্যবস্থার কথা শোনা যায়নি। রাজনৈতিক হিসাব সোজা, যে দল আসনভিত্তিক ভোটে পিছিয়ে পড়বে তারা চায় ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন হোক। যারা শক্তিশালী তারা চায় বর্তমান সিস্টেমে নির্বাচন হোক।
বিডি প্রতিদিন/আশিক