বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেছেন, ‘জনকণ্ঠ পত্রিকাটি দখল হয়ে গেছে। একপ্রকার যৌথ প্রযোজনায় পত্রিকাটি ডাকাতি হয়ে গেছে। সরকারও একপ্রকার সায় দিয়েছে বলা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য নেই।’
‘জাহেদস টেক’ নামের নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘সংবাদপত্র আদতে কতটুকু স্বাধীন এই সরকারের সময়, সেই আলাপটা এখন নতুন করে করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব বলেছিলেন, পত্রিকায় যারা যায় তারা মবকারী নয়, প্রেশার গ্রুপ। তার মানে কি পত্রিকাগুলো এখন প্রেশার গ্রুপের ভয় করছে।’
জনকণ্ঠ একটি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান। এটি দখল করা মানে দিনদুপুরে ডাকাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাহেদ উর রহমান। শেখ হাসিনার পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে যেসব সাংবাদিক বা পত্রিকা ছিল, সে ব্যাপারে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে, এগুলো নিয়ে আমরা কী করতে পারি বা কী করতে চাই। প্রয়োজনে নতুন কোনো আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে অথবা দ্রুত সময়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের দিক থেকে ন্যূনতম কোনো বক্তব্য নেই, পদক্ষেপ তো দূরের কথা। তথ্য উপদেষ্টা এবং সরকারকে বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পত্রিকা দখল দেশের বাইরে বাংলাদেশের ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলেও মন্তব্য করেছেন জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেন, মিডিয়া বা পত্রিকা দখল, বন্ধ শেখ হাসিনার আমলের চর্চা ছিল। সে সময় পাকিস্তানের দোসর, রাজাকারের দোসর ট্যাগ দেওয়া হতো, এখন শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের দোসর ট্যাগ দেওয়া দিয়ে একই কাজ কাজ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই