ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ অর্জন ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এগিয়ে যাওয়া এবং বিশ্ব র্যাংকিংয়ে অবস্থান সুদৃঢ় করা সম্ভব নয়। গবেষণা নির্ভর টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থা, গুণগত প্রকাশনা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিনিময় কার্যক্রমই বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভিত্তি।’
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত “ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং : ক্রাইটেরিয়া, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড বেস্ট প্রাকটিসেস” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডুয়েটের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম।
কর্মশালায় উপাচার্য আরও বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা-সমৃদ্ধ, সৃজনশীল এবং আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে একযোগে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিনিময়ে মনোনিবেশ করতে হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবন ও গবেষণায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব র্যাংকিংয়ে অগ্রসর হতে হলে প্রবন্ধ প্রকাশ, গবেষণা-সাইটেশন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আকর্ষণ এবং মানসম্মত পাঠ্যক্রম প্রণয়ন ও গবেষণাগারের সুবিধা অত্যন্ত জরুরি। ডুয়েট ইতিমধ্যেই এসব ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়কে দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যাবে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীবৃন্দের সঙ্গে র্যাংকিংয়ে ডুয়েটের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি, কৌশল এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। পরিশেষে প্রশ্নোত্তর ও মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে কর্মশালাটি সমাপ্ত হয়।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, ইনস্টিটিউট ও সেন্টারের পরিচালকবৃন্দ, আইকিউএসি এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকবৃন্দ, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাাজুয়েট কোর্স কো-অর্ডিনেটরসহ প্রতিটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট থেকে মনোনীত শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।