মঞ্জুরুল ইসলামের বিপক্ষে যৌন নিপীড়নের প্রথম অভিযোগ করেন জাহানারা আলম। সিডনিতে বসবাসরত সাবেক অধিনায়কের অভিযোগে বেসামাল ক্রিকেট বোর্ড। সাবেক অধিনায়কের অভিযোগের পর থেকে বিতর্ক চলছে নারী ক্রিকেটে। চলমান বিতর্কে এবার যোগ দিয়েছেন নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রুমানা আহমেদও। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে খেলছেন না রুমানা। সরাসরি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ না করলেও সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুর স্পর্শ করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে, ‘মঞ্জু ভাই টাচ করে কথা বলা পছন্দ করতেন। ইনফ্যাক্ট শোল্ডার ধরতেন, পেছন থেকে এসে দুই হাতে ধরে কথা বলতেন। কোনটা গুড টাচ, কোনটা ব্যাড টাচ, এটুকু বোঝার মতো ক্ষমতা মেয়েদের অবশ্যই আছে।’ রুমানা আরও জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের ভিতর যে অস্বস্তিকর আচরণ, সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রতি অশ্রদ্ধার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, সেগুলোর কোনোটিরই সঠিক সমাধান করেনি বিসিবি। অভিযোগগুলো উড়িয়ে দিয়েছে। সাবেক অধিনায়ক রুমানা জানিয়েছেন, জাহানারা এর আগে ৬ পাতার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল। রুমানার দাবি, বিসিবিকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু বোর্ড কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বরং এড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘সিইওর কাছেও এসব জানানো হয়েছিল। কিন্তু সঠিক তদন্ত হয়নি। বিষয়গুলো মিডিয়া জানত, দেশের সবাই জানত, অথচ বিসিবি জানত না, এটা হতেই পারে না।’ মঞ্জুর আচরণ নিয়ে বলেন, ‘এমন আচরণ করতেন, আমরা যেন গরু-ছাগল। মাঠের বাইরে ও ভিতরে সব জায়গায় একটা ভয় কাজ করত।’