বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। একটা সত্যিকার অর্থেই অসাম্প্রদায়িক, সব জাতি ধর্মের অধিকারকে যেখানে সংগত করা হবে, রক্ষা করা হবে, যেখানে সব মানুষ তার অধিকারকে প্রয়োগ করতে পারবে এবং অর্থনীতিতে রাজনীতিতে সব মানুষের অধিকারকে নিশ্চিত করতে পারবো- সে ধরনের একটা বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেই বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, সেই বাংলাদেশকে আমরা নতুন করে পুরোনো অতীতটাকে ভুলে গিয়ে আমাদের যত তিক্ততা আছে সবকিছু ভুলে গিয়ে একটা সত্যিকার অর্থেই অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল এবং গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউত্তম সেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শুরু করেছিলেন।
শনিবার রাজধানীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কেআইবি) কনভেনশন হলে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোট আয়োজিত হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেশ কতগুলো সমস্যা এবং দাবি দাওয়ার কথা আপনারা আমাকে বলেছেন। আপনারা অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন বাস্তবায়ন চেয়েছেন, আপনারা সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন চেয়েছেন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন চেয়েছেন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় চেয়েছেন, দেবত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন চেয়েছেন, ট্রাস্টের পরিবর্তে হিন্দু ফাউন্ডেশন চেয়েছেন, মনোনয়ন ও জাতীয় সংসদসহ জাতীয় জীবনে সর্বস্তরে সংখ্যালঘুদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। কিছু মামলা বিভিন্নভাবে আপনাদের ওপর চাপানো হয়েছে, সেই মামলাগুলো যেন প্রত্যাহার করা হয় সে ব্যাপারে আপনারা বলেছেন। আমি আমার নেতাকে আজকে যিনি বাংলাদেশের নেতৃত্ব করবেন তার কাছে আপনাদের এ দাবি দাওয়াগুলো তুলে ধরলাম। কিন্তু এ দাবি দাওয়াগুলো পূরণ করা তখনই সম্ভব হবে, যখন আমি আমার নেতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিতে পারব। সেই ব্যাপারে কি আপনারা আজকে কথা দিচ্ছেন?
মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের আহ্বায়ক সোমনাথ দে'র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক সমেন সাহার তত্ত্বাবধানে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু)।
মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সদস্য সচিব ও মুখপাত্র কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলের স্বাগত বক্তব্য ও সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মতুয়া মিশনের নির্বাহী সভাপতি মতুয়া মাতা শ্রীমতি সুবর্ণা ঠাকুর, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকারসহ বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন ও মঠ মন্দিরের নেতারা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ