নারায়ণগঞ্জের আলোচিত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ১৫২ মাস উপলক্ষে ত্বকীসহ সকল হত্যার বিচারের দাবিতে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে এই আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এসময় ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, সম্প্রতি তদন্তকারী সংস্থা র্যাব জানিয়েছে তদন্ত প্রায় শেষ, অচিরেই অভিযোগপত্র দেয়া হবে। আমরা চাই ত্বকী হত্যার সাথে জড়িত সকলেই বিচারের আওতায় আসবে। এ হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, ক্যাডার শাহ নিজামসহ হত্যার সাথে জড়িত সকলে অভিযোগপত্রে যুক্ত থাকবে। হত্যাকারীরা দলীয় বলে শেখ হাসিনা সাড়ে এগার বছর এ বিচারটি বন্ধ করে রেখেছিলেন। শেখ হাসিনা দেশের বিচার-ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিলেন। সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের মার্চ মাসেও র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন তদন্ত শেষ, অচিরেই অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে। কিন্তু একযুগেও তা আদালতে জমা পড়ে নাই। সুতরাং আমরা আশা করব এ মাসেই অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে। ইতিমধ্যে ৯৮ বার আদালত থেকে সময় নেয়া হয়েছে। আমরা চাই এটি যেন শত অতিক্রম না করে।
এসময় তিনি সাগর-রুনী, তনুসহ নারায়ণগঞ্জের সকল হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন।
সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মনি সুপান্থর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীনা তাজরিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দীপু, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা জিয়াউল ইসলাম কাজল, সিপিবি জেলা সভাপতি শীবনাথ চক্রবর্তী ও গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচার শুরু ও চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তার ও সকল হত্যার বিচারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল