প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একবারে ১৩ থেকে দশম গ্রেডে আসার কোনো যুক্তিই নেই। তাদের এই মুহূর্তে আন্দোলনে যাওয়াও যৌক্তিক নয়। যদি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা বিঘ্নিত হয়; সেক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের তিনটি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে শিক্ষকদের কথা বলার সুযোগ আছে জানিয়ে গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বেশিরভাগ শিক্ষক মনে করেন দশম গ্রেডের এই দাবি যৌক্তিক নয়। প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষকদের সংখ্যা অনেক বেশি, এটি সম্ভব নয়। একবারে ১৩ থেকে দশম গ্রেডে আসার কোনো যুক্তিই নেই। তারা যেন ১১তম গ্রেড পেতে পারেন সেজন্য আমরা কাজ করছি। তাদের এই মুহূর্তে আন্দোলনে যাওয়াও যৌক্তিক নয়।’
তিনি আরও বলেন, পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে সরকারের নীতি শতভাগ না দিয়ে ৮০ পার্সেন্ট দেওয়া, ২০ পার্সেন্ট নতুন নিয়োগের জন্য রাখা হয়েছে।
এর আগে সকালে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় শিক্ষকদের নৈতিক, ব্যবহারিক, সহশিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ