ইস্তাম্বুলে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে তালেবান জানিয়েছে, পূর্বে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, দুই দিনের আলোচনা ‘সদিচ্ছার সঙ্গে’ অনুষ্ঠিত হলেও পাকিস্তান তাদের নিরাপত্তার দায় আফগান সরকারের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে এবং আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বা দায়িত্ব পালনে কোনো সদিচ্ছা দেখায়নি। মুজাহিদ আরও অভিযোগ করেন, পাকিস্তান আলোচনায় ‘দায়িত্বহীন ও অসহযোগিতামূলক মনোভাব’ দেখিয়েছে।
পাকিস্তান সরকার এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি, তবে ইসলামাবাদ স্বীকার করেছে যে আলোচনা বর্তমানে অচলাবস্থায় রয়েছে। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানান, ইসলামাবাদ আফগান জনগণ বা প্রতিবেশী দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে তালেবান সরকারের কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না।
পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তান পাকিস্তানি তালেবান সশস্ত্র গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিচ্ছে, যা পাকিস্তানে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে। জবিউল্লাহ মুজাহিদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আফগান ভূখণ্ড কোনো দেশকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না, এবং অন্য কোনো দেশের আগ্রাসনের জবাবে আফগানিস্তান দৃঢ়ভাবে প্রতিরক্ষা করবে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম দিকে সীমান্তে সংঘর্ষে ৫০ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া কাবুলে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের ২৩ জন সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/আশিক