যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ শাটডাউন, যা ৩৮ দিন ধরে চলছে। এতে ভ্রমণ, হোটেল ও নির্মাণ খাত বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট।
তিনি সতর্ক করেছেন, চলমান সরকারি শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতিতে ‘প্রত্যাশার চেয়েও মারাত্মক’ প্রভাব ফেলছে এবং এর ফলে বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রবৃদ্ধি অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।
শুক্রবার ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যাসেট বলেন, শাটডাউনের প্রভাব আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। কারণ, এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলছে।
হ্যাসেট জানান, গোল্ডম্যান স্যাকসের সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, এই শাটডাউন যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি থেকে ১ থেকে ১.৫ শতাংশ পর্যন্ত কেটে নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভ্রমণ ও বিনোদন খাত এখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি শাটডাউন আরও এক-দুই সপ্তাহ চলতে থাকে এবং এর প্রভাবে বিমান চলাচল কর্মীদের বেতন বিলম্বিত হয়, তাহলে এই খাত ‘অস্থায়ী মন্দার’ মুখে পড়তে পারে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৪০টি বড় বিমানবন্দরে প্রায় ৭০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) কর্মী সংকটের কারণে সাম্প্রতিক সময়েই ফ্লাইট কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বলে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
এফএএ জানিয়েছে, শাটডাউনের কারণে বিমান নিয়ন্ত্রণকর্মীর ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার থেকে ফ্লাইট সংখ্যা ৪ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে আগামী সপ্তাহে ফ্লাইট কমানোর হার ১০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
প্রসঙ্গত, ১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার আগে যদি কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো না যায়, তাহলে শাটডাউন তৈরি হয়। এর ফলে অপ্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, অনেক জরুরি সেবাও বিঘ্নিত হয়।
এবার রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাদের মতবিরোধের কারণে শেষ পর্যন্ত শাটডাউন এড়ানো সম্ভব হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি