বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক। নানা কারণে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সততা, নিষ্ঠা, গভীর দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তাসহ প্রভৃতি গুণাবলি এ দেশের গণমানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। সাধারণ মানুষের কাছে তার যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল অন্য কোনো রাষ্ট্রনায়কের ভাগ্যে তা জোটেনি। মাত্র ছয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। সাধারণ মানুষ তার ওপর ছিল প্রচণ্ড আস্থাশীল। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার ওপর মানুষের এই আস্থায় কোনো চিড় ধরেনি।
শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে শহীদ টিটু মিলনায়তনে বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘৭ নভেম্বর রাষ্ট্রসংস্কারের নবযাত্রা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সবাইকে বাংলাদেশি পরিচয়ে এক পতাকার নিচে সমবেত করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সংবিধানের মূলবাণীতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ যুক্ত করেছিলেন। তাই বিএনপির সঙ্গে ইসলাম যুক্ত করার প্রয়োজন হয়নি। ইসলামকে অবমাননা করে কেউ রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে না। যারা ইসলামের ব্যাখ্যা বিকৃত করেন, তাদের নামের আগে ইসলাম শব্দ ব্যবহার করে রাজনীতি করা উচিত নয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ-উন-নবী সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. হাসানাত আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক কাওসার হাসান টগর, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল হাসান রানু প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলা বিএনপি নেতা শেখ তাহাউদ্দিন নাইন, কেএম খায়রুল বাশার।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি