খুলে দেওয়া হলো টিটিপাড়া আন্ডারপাস। প্রায় দুই বছরের চরম দুর্ভোগের অবসান হলো। গতকাল আন্ডারপাসটি উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরেক বিশেষ সহকারী শেখ মইন উদ্দিন। যদিও কমলাপুরমুখী রাস্তার ওপর মেট্রোরেলের স্টেশন নির্মাণের কাজ চলমান থাকায় এ আন্ডারপাসের পুরোপুরি সুফল পেতে সময় লাগবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই বছরের নির্মাণকাজ শেষে তৈরি হয়েছে ছয় লেনের এই আন্ডারপাস। এর মধ্যে চার লেন নির্ধারিত হয়েছে যান্ত্রিক যানবাহনের জন্য, আর দুই পাশে রিকশা ও সাইকেলের জন্য আলাদা লেন রাখা হয়েছে। পথচারীদের জন্যও রাখা হয়েছে প্রশস্ত ফুটপাত। প্যাডেলচালিত যানবাহনের সুবিধার্থে দুই পাশের লেন কিছুটা উঁচু করা হয়েছে, যাতে ঢাল কম থাকে। ফলে এখন ট্রেন ওপরের ট্র্যাকে চলবে আর নিচ দিয়ে সড়কপথের যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। মূল সড়ক থেকে ১১ মিটার নিচ দিয়ে আন্ডারপাস তৈরি করায় ভরা বর্ষায় যেন পানি না জমে তার জন্য আছে আধুনিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা।
রোড মার্কিং, মাঝের ডিভাইডারে ফুলের গাছ, সড়কের দুই পাশে ল্যাম্পপোস্ট সবকিছু মিলিয়ে আন্ডারপাসের সৌন্দর্য এখন দৃশ্যমান। তবে এর পেছনে এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের সীমাহীন কষ্টের গল্পও আছে। বিকল্প রাস্তা না থাকার কারণে রাস্তা বন্ধ করে তৈরি করতে হয়েছে আন্ডারপাস। যার কারণে দীর্ঘ পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়েছে পথচারী ও যানবাহনগুলোকে। নষ্ট হয়েছে মূল্যবান কর্মঘণ্টা।
এটি খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হচ্ছে। মতিঝিলের সঙ্গে মুগদা, মান্ডা, মানিকনগর ও সবুজবাগ এলাকার সংযোগ সড়কে ট্রেনের সিগন্যালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হবে না আর। তবে কমলাপুরে মেট্রোরেলের স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্ডারপাসের শতভাগ সুফল পেতে সময় লাগবে।