ঢাকা এখন এশিয়ার সেরা আর্চারদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে ৩০টি দেশের আর্চাররা এসেছেন। বেশির ভাগই অবস্থান করছেন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। এই হোটেলে ভিড় জমে গেছে আর্চারদের। গতকাল সকালেই তারা ছুটলেন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে। সেখানে গিয়ে শুরু হলো নানা তোড়জোড়। কেউ তীর-ধনুক পরীক্ষা করছেন। আবার কেউ ছুড়ে দেখছেন, সবকিছু ঠিক আছে কি না। গতকালই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। আর্চাররা অফিশিয়াল অনুশীলন সেরে নিয়েছেন। নিজেদের শেষবারের মতো ঝালিয়ে নিয়েছেন। আজ থেকে শুরু হবে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের মূল লড়াই।
আজ সকালে রিকার্ভ পুরুষ এবং কম্পাউন্ড নারীদের র্যাঙ্কিং রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। দুপুরের খাবার বিরতির পর শুরু হবে রিকার্ভ নারী ও কম্পাউন্ড পুরুষদের র্যাঙ্কিং রাউন্ড। এবারের আসরে বাংলাদেশের আলিফ, সাগর, ভারতের ধীরাজ, অতনু দাস, দীপিকা, দক্ষিণ কোরিয়ার সিও মিনগি, কিম ইয়াচেন, ইরাকের ফাতিমা আলমাশদানির দিকেই দৃষ্টি থাকবে। অবশ্য নতুন কোনো দেশের আর্চাররাও নাম কুড়াতে পারেন। এশিয়ান আর্চারির গত আসর হয়েছিল ব্যাংককে। ২০২৩ সালের সেই আসরে দক্ষিণ কোরিয়া ৬টি সোনার পদকসহ মোট ১১টি পদক জয় করে। ভারত ৩টি সোনার পদকসহ মোট ৭টি পদক জিতে দুই নম্বরে ছিল। এর বাইরে সোনা জয় করেছিল কেবল কাজাখস্তান। এবার নতুন কোনো দেশ কি সোনা জয়ের তালিকায় নাম লেখাতে পারবে? বাংলাদেশের প্রধান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ বেশ আশাবাদী। বাংলাদেশের আর্চাররা কঠোর অনুশীলন করেছেন। সাগর-আলিফরাও বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে আর্চারিতে দিনটা নিজের হলেই কেবল ভাগ্য খুলতে পারে। আজ অবশ্য র্যাঙ্কিং রাউন্ড। এর মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষ ঠিক হবে। এরপরই শুরু হবে আসল লড়াই। সেই লড়াইয়ে নিজেদের মনোযোগটা ধরে রেখে সাফল্য উপহার দিতে পারবেন কি বাংলাদেশের আর্চাররা? এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ ও কম্পাউন্ডে পুরুষ এবং নারী একক, পুরুষ ও নারী দলগত এবং মিশ্র ইভেন্টে লড়াই করবেন আর্চাররা। বাংলাদেশ শেষবার এই টুর্নামেন্টে পদক জয় করেছিল ২০২১ সালে। সেবার রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্টে একটি রুপা এবং রিকার্ভ পুরুষ ও নারী দলগত ইভেন্টে দুটি ব্রোঞ্জ পদক জয় করে। অতীতের সেই সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনেই এবার নামছেন সাগর-আলিফ-বন্যারা।