রংপুরে হাটে হাটে ক্রয়কেন্দ্র খুলে লাভজনক দামে কৃষকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টন ধান ক্রয়, উন্নয়ন বাজেটের ৪০ ভাগ কৃষিখাতে বরাদ্দ এবং ক্ষেতমজুরদের সারা বছর কাজের নিশ্চয়তার দাবিতে মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরে কৃষক সংগ্রাম ও ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ রংপুরের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
পরে কাচারীবাজারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি রংপুর জেলার সভাপতি আমজাদ হোসেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রবীণ রাজনীতিক শাহাদাত হোসেন, সমাজতান্ত্রিক কৃষক ও খেতমজুর ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ খেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আহসানুল আরেফিন তিতু, কৃষক সমিতির রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, কৃষক ফ্রন্টের রংপুর জেলার সদস্যসচিব মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
তারা বলেন, গত ৯ এপ্রিল সরকার এ বছর বোরো মৌসুমে ধান চাল কেনার ঘোষণা দিয়েছে। সেখানে ৩ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ১৪ লাখ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের এ ঘোষণা বরাবরের মতো চালকল মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করবে। প্রতি বছরই সরকার ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা কম রাখে, চাল কেনে বেশি। এ বছর ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের তুলনায় আরও ২ লাখ মেট্রিক টন কম। প্রতিবছর দেখা যায়, মৌসুম শেষে সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চাল শতভাগ কিনলেও ধান কিনতে পারে ৫০ শতাংশ বা তারও কম। অথচ কৃষক ধান বিক্রি করতে পারে চাল নয়।
তারা আরও বলেন, সরকারের ধান কেনার সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি থেকে এ কথা অনস্বীকার্য যে, তারা কৃষক নয় চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের স্বার্থই রক্ষা করেন। ফলে মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে বাধ্য করে। সেক্ষেত্রে সরকারি সংগ্রহের পুরোটাই সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার মাধ্যমে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব। সরকার যতটুকু ধান কেনে সেটিও নানা জটিলতার (যেমন- নির্ধারিত আর্দ্রতা, কৃষি কার্ড ও অ্যাপস ব্যবহার ইত্যাদি) কারণে সরাসরি কৃষক বিক্রি করতে পারে না। অবিলম্বে এসব জটিলতা দূর করে হাটে হাটে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে। পাশাপাশি মিলারদের সাথে চুক্তি করে সেই ধান থেকে চাল করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ