ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে শনিবার গুজরাট রাজ্যের সুরাটের চান্ডোলা লেক এলাকা থেকে কয়েক শতাধিক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছিল স্থানীয় পুলিশ। আর এবার সেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। গতকাল সকালের দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (এএমসি) অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে। এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ৫০টি জেসিবি, মোতায়েন ছিলেন প্রায় ২ হাজার নিরাপত্তারক্ষী। আহমেদাবাদের যুগ্মপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) শারদ সিংহল জানান, ‘চান্ডোলা লেকের পাশের সিয়াশতনগর বাংলা ভাস এলাকায় সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করেন।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এর আগে ২০০৯ সালে এ উচ্ছেদ অভিযান চলেছিল তার পরেও এ অবৈধভাবে স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হয়। সাম্প্রতিক জরিপে এএমসি জানতে পারে সরকারি জমিতে এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে গুজরাটজুড়েই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সন্ধানে ধরপাকড় চলছে। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে শনিবারও সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় ওমরগাম পুলিশ। এর মধ্যে ছয়জন পুরুষ, একজন নারী। ভালসাদ পুলিশ সুপার করণরাজ বাঘেলা জানান, ‘এ বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে নেপালে চলে যান। এরপর নেপাল থেকে অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে সেখান থেকে গুজরাটে আসেন।’ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং পরে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানি নাগরিকদের পাশাপাশি অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের সন্ধানে উত্তরপ্রদেশে জোর তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশেই রাজ্যজুড়ে নতুন করে অভিযান চলছে।
তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রাথমিক অনুমান, রাজ্যটিতে ব্যাপক সংখ্যায় বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গার অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটেছে। শুধু তাই নয়, তদন্তকারী এজেন্সিগুলোর কাছে এমন কিছু প্রমাণ এসেছে যা থেকে পরিষ্কার, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দুর্বল করার লক্ষ্যে বিদেশ থেকে মোটা অর্থের তহবিল আসছে এ অনুপ্রবেশকারী সিন্ডিকেটগুলোর কাছে।