পেশাদার ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের আগমন ২০১৮-১৯ মৌসুমে। ক্যালেন্ডারের হিসাবে দলটির বয়স এখনো আটে পা দেয়নি। অথচ শুরু থেকেই ইতিহাস গড়াটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অভিষেকের পর টানা পাঁচবার লিগে শিরোপা জেতার রেকর্ড রয়েছে। যা ১৯৪৮ সালে শুরু হওয়া ঘরোয়া লিগের নতুন এক ইতিহাস। এবার ফেডারেশন কাপেও আরেক রেকর্ড গড়ল তারা। ১৯৮০ সালে এ আসরের যাত্রা। কিন্তু কিংসের শুরুটা তো ২০১৮-১৯ মৌসুম থেকেই। সর্বোচ্চ ১২ বার শিরোপা জেতার রেকর্ড ঢাকা আবাহনীর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ বার চ্যাম্পিয়ন ঢাকা মোহামেডান। ব্রাদার্স ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদ, শেখ জামাল ধানমন্ডি ও বসুন্ধরা কিংস তিনবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অন্যদিকে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন শুরু থেকেই খেলছে। প্রথম আসরে তারা যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। দুই মৌসুম বাদ দিলে ধানমন্ডিও শুরু থেকে খেলছে। প্রথম বিভাগ লিগে মুক্তিযোদ্ধার অভিষেক ১৯৮৪ সালে, সেবার থেকেই তারা ফেডারেশন কাপ খেলছে। অবশ্য তিন বছর ধরে ফুটবলে নেই মুক্তিযোদ্ধা।
কিংসের অভিষেক ২০১৮-১৯ মৌসুমে। অথচ এত অল্প সময়ের মধ্যে ফেডারেশন কাপে বসুন্ধরা কিংস এখন তৃতীয় সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা দল। গতকাল ফাইনালে আবাহনীকে হারিয়ে জনপ্রিয় এ আসরে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। ব্রাদার্সকে তৃতীয় শিরোপা জিততে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ২৫ বছর। মুক্তিযোদ্ধার ১৯ ও ধানমন্ডির ৩৫ বছর। সেখানে কি না আট বছর ক্যারিয়ার পার না হতেই তৃতীয় সর্বোচ্চ চার ট্রফি জিতল দেশের ফুটবল কিং বসুন্ধরা কিংস। এ এক বিরল রেকর্ড। আবাহনীর মতো দলকেও চতুর্থ শিরোপা জিততে আট বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।
বসুন্ধরার শোকেসে ইতিহাস আর ইতিহাস। অভিষেকের পর লিগ পাঁচ, ফেডারেশন কাপ চার, স্বাধীনতা তিন ও চ্যালেঞ্জ কাপে একবার চ্যাম্পিয়ন। সর্বমোট ১৩টি ট্রফি তাদের শোকেসে বন্দি। বাংলাদেশের ফুটবলে অভিষেকের পর কোনো দলের এত ট্রফি জেতার রেকর্ড নেই। শুধু কি তাই, মেয়েদের লিগেও হার না মানা হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন। শিরোপা যেন কিংসের নিত্যসঙ্গী।