দ্বন্দ্বে কোন আনন্দ নাই, আপস করো ভাই, লিগ্যাল এইড আছে পাশে, কোন চিন্তা নেই- এই প্রতিপাদ্যে বগুড়ায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় আইন সহায়তা দিবস পালন করা হয়েছে। সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধীন জাতীয় আইন সহায়তা প্রদান সংস্থা এবং বগুড়া জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির উদ্যোগে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দিবসটির উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহজাহান কবির। এরপর শহরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এরপর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারি জজ) এম. এম মাহবুব ইসলাম। সভায় দিবসটির তাৎপর্য ও লিগ্যাল এইডের সুফল উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহজাহান কবির।
বক্তব্যে তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ২৭নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের আইনের আশ্রয়লাভের ক্ষেত্রে সমতা থাকার বিষয়টি মৌলিক অধিকার হলেও আর্থিকভাবে অসচ্ছল, নির্যাতিত, নিপীড়িত এবং অসহায় বিচার প্রার্থী প্রায়শই আদালেতের দরজায় পৌছাতে পারেন না। বিচার প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক টাকা খরচ করেও অসচ্ছল ও অসহায় ব্যক্তিরা আইনের আশ্রয় লাভের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আর্থিক অভাবের কারণে কোনো নাগরিক আইনের আশ্রয় নিতে পারবে না এটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চরিত্র হতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, দরিদ্র জনগণকে আইনি সুরক্ষা এবং সেবা প্রদানে বাংলাদেশ সরকার সংবিধানিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বগুড়া জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি সরকারের সংবিধানিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, স্পেশাল জজ (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) শোঃ শহিদুল্লাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোঃ আনোয়ারুল হক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইফতেখার আহমেদ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এ, এস, এম তাসকিনুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান, মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাজ্জাদ-উল-হক, জেলা আইনজীবী বার সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা, জেলা জজ কোর্টের সহকারি কৌসুলী (জি.পি) শফিকুল ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটর (পি,পি) মোঃ আব্দুল বাছেদ, জেলা জজ কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল