সরানো হলো আরও এক উপদেষ্টার একান্ত সচিবকে (পিএস)। এক উপদেষ্টার এপিএস ও এক উপদেষ্টার পিও পরিবর্তনের আগেই তাকে সরানো হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে কানাঘোষা চললেও ক্যাডার কর্মকর্তা হওয়ার কারণে চাপা থাকে। সেই কর্মকর্তার নাম মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়া। সড়ক, রেল ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের পিএস থাকা অবস্থায় নানা আর্থিক অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের স্বর্গ গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি উপদেষ্টার নজরে আসার পর পিএস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। এ ছাড়াও অন্য দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিওর দুর্র্নীতি খুঁজে দেখতে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছে দুদক।
জানা গেছে, মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়া ২৮ বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা। অন্তর্বর্তী সরকার তাকে গত বছরের ১৮ আগস্ট মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের পিএস করা হয়। মাত্র ৮ মাসের মাথায় চলতি মাসের ৬ তারিখে তাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। এরপর নানা অনিয়মের অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকেও।
উপদেষ্টার সাবেক পিএস হাসনাত মোর্শেদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও রেলের নানা আর্থিক অনিময়ের গুঞ্জন চলছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন উপদেষ্টার পিএসকে বিভিন্ন অভিযোগে দ্রুত সরানো হয়। সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে একছত্র ক্ষমতা প্রদর্শন ও নানা আর্থিক লেনদেনের খবর জানার পর উপদেষ্টা তাকে সরিয়ে দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। কেন সরানো হলো পিএস থেকে জানতে চাইলে মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটা রুটিন বদলি হবে। আর পিএস হলে কাজ শেখা যায় না। এত কম সময়ে কেন সরানো হলো- নানা আর্থিক অনিময় বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, একজন এপিএস, একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সরানো হয়েছে, তাদের নিয়ে রিপোর্ট এসেছে। আমার অনিয়ম নিয়ে কোনো রিপোর্ট হয়নি কোথাও।
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিওর দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু : সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। গতকাল দুপুরে নিয়মিত ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।