আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ’ দেখতে চায় অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (আইডিইএ)।
গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ারবিষয়ক পরিচালক লিনা রিকিলা তামাং এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অনেক দায়বদ্ধতা আছে। বর্তমান শাসনব্যবস্থা থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য ‘অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ’ নির্বাচন আয়োজন করাই হচ্ছে তাদের দায়বদ্ধতা। কেননা, বাংলাদেশের জনগণের চাহিদাই হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণ ঘটানো। লিনা রিকিলা তামাং বলেন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার একটি প্রতিষ্ঠান। সিইসির সঙ্গে আমাদের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে অনেকগুলো বিষয়ে। বিশেষ করে সংস্কার কার্যক্রম কীভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। আমাদের আইনি বিষয়গুলো নিয়ে জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে ঐকমত্যে পৌঁছাবে এটা একটা অন্যতম প্রশ্ন। কীভাবে ভোটিং হবে, দল নিবন্ধন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা প্রচলতি আইন অনুযায়ী কাজ করছে। আমি যতটুকু বুঝেছি ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা এগোবে।’
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলিও সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। এজন্য তার দেশ নির্বাচনে সহায়তা দিতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন।