সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করা সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের নৈতিক দায়িত্ব। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। কোনো অশুভ শক্তি বা ষড়যন্ত্র যেন এই রক্তস্নাত বিজয় ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ড. কামাল হোসেনের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতিতে পঠিত লিখিত বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। গণফোরাম আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, বিগত সময়ে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণের ফলে প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তিনি।
যথাসময়ে সংস্কার কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ যাতে সুগম হয় সেই প্রত্যাশার কথাও উল্লেখ করেন ড. কামাল।