কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকারে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া ও তার সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার। সেখানে হাসিনার ভারতে থাকা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে তার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে
তিনি মোদির কাছে শেখ হাসিনা যেনো উস্কানিমূলক কথা না বলে সেই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেকভুক্ত দেশের সব সরকারপ্রধান এসেছিলেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
এরপর পাল্টা প্রশ্নে আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার জানতে চান মোদি কি বলেছিলেন? ড. ইউনূস বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’
কারণ ভারতে সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল