মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকা থেকে অবৈধ হকার ও অটোরিকশা উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রশাসক বলেন, 'মিরপুর-১০ গোলচত্বরে হকারদের কারণে চলাচলে ভীষণ সমস্যা হয়। কারো চলাচলের অধিকার অন্য কেউ কেড়ে নিতে পারে না। আমরা সেখানে অবাধ চলাচল নিশ্চিত করবো। হকার বা অটোরিকশা—যা-ই হোক, প্রধান সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে যেহেতু অনেকেই ইনফরমাল পেশায় যুক্ত, তাই তাদের পুনর্বাসনের জন্য বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে।'
এসময় তিনি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় মোট ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও ১.৫ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এবং গণশুনানিতে অংশ নেন।
ডিএনসিসির উন্নয়ন প্রকল্পে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দেন প্রশাসক। তিনি বলেন, 'প্রকল্প কখন শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কত টাকা বরাদ্দ আছে এবং কোন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হবে—এসব জনগণের জানা দরকার। জনগণ জানলেই জবাবদিহিতা হবে।'
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি পূর্ব ঢাকার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার দেখতে পেয়েছেন। তিনি বলেন, স্টোন দিয়ে দেওয়াল নির্মাণ করার কথা থাকলেও ব্রিক ব্যবহার করা হয়েছে, যা বড় ধরনের অনিয়ম। ঠিকাদারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্ধারিত মান অনুযায়ী কাজ না করলে বিল দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, স্থানীয় জনগণ যেন ঠিকাদারের কাজ বুঝে নিতে পারে, তার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য এবং ঠিকাদারের ফোন নম্বরও দেওয়া হবে।
ডিএনসিসি প্রশাসক আরও জানান, 'সবার ঢাকা' অ্যাপের পাসওয়ার্ড বর্তমান প্রশাসনকে না দেওয়ার অভিযোগ আছে। তিনি বলেন, 'এই অ্যাপে ৪ কোটি টাকা খরচ হলেও আমাদের এখন পর্যন্ত পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়নি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিডি প্রতিদিন/মুসা