কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু এই যুদ্ধের অবসান কীভাবে করা যায় এ প্রশ্নের চূড়ান্ত উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের সাথে বৈঠকের পর এ নিয়ে প্রথমবারের মতো পরিষ্কার কিছু জানালো কাতার।
দোহায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, হামাস যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানের জন্য আলোচনায় আরও বেশি আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর হামাস এখন এমন একটি চুক্তিতে বদ্ধপরিকর বলে মনে হচ্ছে, যেখানে কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য যুদ্ধ বন্ধ করার চুক্তির অংশ হিসেবে বাকি সকল জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
হামাস জানিয়েছে, তারা এই ধরনের চুক্তির অংশ হিসেবে নিরস্ত্রীকরণ বিবেচনা করতে পারে। তবে যদি ইসরায়েল গাজা থেকে তার সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে। ইসরায়েলের এটি করার কোনও ইচ্ছা নেই বলে মনে হচ্ছে।
ইসরায়েল মার্চের শুরুতে গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে এবং মাসের শেষের দিকে আবারও বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তখন থেকে ২,১৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে রবিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৫১ জন নিহত হয়েছে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে শুক্রবার একজন ইসরায়েলি সৈন্য এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানির সাথে দেখা করেছেন।
শেখ মোহাম্মদ বলেছেন, অন্যান্য বৈঠকের তুলনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবুও আমাদের চূড়ান্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে হবে, এই যুদ্ধ কীভাবে শেষ করা যায়।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল