জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারতের সঙ্গে চরম উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানে এবার শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল চারটার দিকে পাকিস্তানের উত্তপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলার বৃহত্তম শহর ওয়ানায় স্থানীয় শান্তি কমিটির দফতরে এই ঘটনা ঘটে। হামলার সময় সেখানে শান্তি কমিটির বৈঠক চলছিল।
বিস্ফোরণের জেরে দফতরের বিশাল অংশ ধসে পড়ে এবং ধংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েন অনেকে। অবশ্য অল্প সময়ের মধ্যেই উদ্ধারকারী দল ও স্থানীয় লোকজন তৎপরতা শুরু করেন এবং হতাতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এখন পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে ইতোমধ্যে বেশ কিছু আলামতও জব্দ করা হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশটি মূলত পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন তেহরিক-ই তালেবানের (টিটিপি) ঘাঁটি। আফগানিস্তান ক্ষমতাসীন তালেবান গোষ্ঠীর প্রতি অনুগত টিটিপির সঙ্গে ২০২১ সালে অস্ত্রবিরতি চুক্তি করেছিল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার।
কিন্তু ২০২২ সালের নভেম্বরে এই চুক্তি ভেঙে যায় এবং তারপর থেকে সন্ত্রাসী হামলার হার বাড়িয়ে দেয় টিটিপি।
এদিকে, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়। ওই ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলাকারীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভারত। যদিও পাকিস্তান সেই অভিযৈাগ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দাবি করেছে যে, এটি ভারতের সাজানো নাটক।
তারপরও প্রতিবেশী দেশ পাকস্তানের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। পাকিস্তানিদের স্বল্পমেয়াদি ভিসা বাতিল করে দিয়েছে। সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে। পাকিস্তানও পাল্টা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। সূত্র: রয়টার্স, আরব নিউজ, ডন নিউজ
বিডি প্রতিদিন/একেএ