আগামীকাল দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আবাহনী-মোহামেডান ক্রিকেট ম্যাচ। অথচ ম্যাচটি খেলতে পারবেন না তাওহিদ হৃদয়। নতুন করে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচকে ছাড়িয়ে এ মুহূর্তে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয়। আম্পায়ারের সঙ্গে অসদারচরণের জন্য শুরুতে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। ঘটনাটি নিয়ে প্রতিদিনই নাটক হয়েছে। এবার জন্ম হলো নতুন নাটকের। তাকে এবার চার ম্যাচ নিষিদ্ধ করার চিঠি দিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিটন (সিসিডিএম)। হৃদয়কে নিষিদ্ধের চিঠি মোহামেডান ক্লাবকে পাঠিয়েছে সিসিডিএম। ক্লাবের একজন কর্মকর্তা চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। অবশ্য আনুষ্ঠানিক কোনো কমেন্টস করতে চাইছেন না তিনি। শোনা যাচ্ছে, ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করবে। আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচটিতে বিশেষ অনুমতি নিয়ে খেলতে পারেন হৃদয়।
সর্বশেষ গাজী ক্রিকেটার্স ম্যাচে আউটের পর প্রতিক্রিয়া দেখান হৃদয়। ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ তাকে শুনানিতে ডাকলেও উপস্থিত হননি। পরে ম্যাচ রেফারি লেভেল-১ অপরাধের জন্য হৃদয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়। এর আগে ৭টি ডিমেরিট পয়েন্ট ছিল হৃদয়ের। সব মিলিয়ে ৮টি ডিমেরিট পয়েন্ট হয়েছে। ক্রিকেটারদের জন্য বিসিবির আচরণবিধির ৭.৫ ধারা অনুসারে ৮ ডিমেরিট পয়েন্ট মানে ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। আচরণবিধি অনুসারেই শাস্তি পাচ্ছেন মোহামেডানের বর্তমান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়। গাজীর আগে ১২ এপ্রিল আবাহনীর বিপক্ষে আম্পায়ারের সঙ্গে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়েছিলেন হৃদয়। তখন শুরুতে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হন তিনি। পরবর্তীতে মিডিয়ার মুখোমুখিতে শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত ও তানভীর ইসলামের বিপক্ষে কথা বললে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন এবং ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়। মোহামেডান ক্লাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে এক ম্যাচের শাস্তি কমানো হয়। সর্বশেষ তামিম ইকবালের নেতৃত্বে ক্রিকেটাররা বিসিবি সভাপতি ও দুই পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করে মিডিয়ার মুখোমুখি হন। এরপর বিসিবি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, হৃদয়ের দুই ম্যাচ নিষিদ্ধের পরেরটি পরের বছরের প্রথম ম্যাচে ভোগ করবে। গতকাল সিসিডিএম নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে।