দেশব্যাপী ২০২৪-২৫ সেশনের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে । শনিবার (১২ এপ্রিল) সারাদেশে একযোগে দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত মোট ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি উপকেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৭.৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়। এছাড়াও ঢাবি কেন্দ্রে উপস্থিতি ছিলো ৮৪.৫৯ শতাংশ। ঢাকায় তীব্র যানজটের ভোগান্তি উপেক্ষা করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা তীব্র যানজট, অপর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা এবং খাবার সংকটের মুখোমুখি হন।
তথ্যমতে, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ হাজার ৩২৬ জন পরীক্ষার্থীর হতে ৬ হাজার ৪১৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৭ হাজার ৩২৯ জন পরীক্ষার্থী হতে ২৩ হাজার ৯২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
কেন্দ্রসমূহে প্রশাসনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সংগঠনসমূহ পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য স্টল স্থাপন করে এবং পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কলম ও পানি বিতরণ করে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিভাবকদের বসার জন্য অল্প পরিসরে ছাউনির ব্যবস্থা করে।
বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পানি, কলম, প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইনসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তা করছেন। পাশাপাশি বাইক সার্ভিস দিয়ে দেরি করে আসা ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছে দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ঘুরে ঘুরে এই কাজের তত্ত্বাবধান করছেন। একই দৃশ্য ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কেও। শিবিরের হেল্প ডেস্কেও পানি, কলমসহ বিভিন্ন সামগ্রী রাখা আছে। তারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এসব সামগ্রী উপহার দিচ্ছেন। পরীক্ষা কেন্দ্র দেখিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন তথ্য প্রদান করতেও দেখা যায় তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল হাসান ও সেক্রেটারি মেহেদী নাঈম এই কাজের তত্ত্বাবধান করছেন।
এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী মাছুমা হোসাইন বলেন, ভুলক্রমে আমি পানির বোতল নিতে ভুলে গিয়েছিলাম। একটি হেল্প ডেস্ক থেকে সেটি সংগ্রহ করেছি। তারা বিভিন্নভাবে তথ্য দিয়ে আমাদের সাহায্য করছেন। অচেনা একটা জায়গায় এ ধরনের তথ্য ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই উপকারী।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, কৃষি গুচ্ছ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ উপলক্ষে সারা বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার সাধারণ শিক্ষার্থী শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য আসেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে, বাইক সার্ভিস, রিকসা সার্ভিস, ফ্রি মেডিকেল টিম, খাবার পানির ব্যবস্থা করেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সর্বদা সাধারণ শিক্ষার্থীর পাশে থাকবে, এটাই তাদের প্রত্যয়।
ছাত্র শিবির সভাপতি মো. আবুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজের কল্যাণে একটি আস্থার নাম। চতুর্থ দফার আলোকে আমরা সবসময়ই শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। আজকের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতায় আমরা হেল্প ডেস্ক, বিশুদ্ধ পানি, শিক্ষা উপকরণ, অভিভাবকদের বসার স্থান এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি রিকশা সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি। আমরা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি, যা আমাদের জন্য দারুণ অনুপ্রেরণা।
বিডি প্রতিদিন/এএ