গাইবান্ধায় ‘বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশে বিভিন্ন জনজাতির ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে শহরের অবলম্বন কনফারেন্স রুমে এই সভার আয়োজন করে নাগরিক সংগঠন ‘জনউদ্যোগ’।
পরিবেশ আন্দোলন-গাইবান্ধার সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জনউদ্যোগ, গাইবান্ধার সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, নারী নেত্রী মাজেদা খাতুন, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ সদর উপজেলা আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, শিক্ষক রনজিৎ সরকার, মানবাধিকারকর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, নারী নেত্রী নাজমা বেগম, সেলিনা আকতার সোমা, শিক্ষক অশোক সাহা, সমাজকর্মী মনির হোসেন সুইট, সুরভী মার্ডি ও মারিয়া মুরমু।
বক্তারা বলেন, “অতি প্রাচীনকাল থেকে বাঙালি ও সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ একে অপরের সঙ্গে সহাবস্থান করে আসছে। এর ফলে ভাষা, সংস্কৃতি ও রীতিনীতির আদান-প্রদান ঘটেছে। তাঁদের কাছ থেকে বাঙালিরা শিখেছে সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও কৃষ্টি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় রাষ্ট্রীয় কিংবা সামাজিকভাবে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।”
বক্তারা আরও বলেন, “জাতিগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি অবহেলা ও অযত্নে হারিয়ে যাচ্ছে, অথচ এটি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যেরই অংশ। সঠিক মর্যাদা ও অধিকারে সুনিশ্চিত না হলে এরা একদিন হারিয়ে যাবে ইতিহাস থেকে। তাই প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও সমাজের সহানুভূতি।”
বক্তারা জানান, “সারা দেশে সাঁওতাল, দলিতসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এখনো প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে। মানবাধিকার, শিক্ষা, জীবনমানের দিক দিয়েও তাঁরা বঞ্চিত। বিশেষ করে দলিত ও সাঁওতাল নারীরা আরও বেশি প্রান্তিকতায় জীবন কাটাচ্ছেন। তাঁদের প্রতি সহিংসতা, উচ্ছেদ ও নিপীড়ন বন্ধ করাই এখন সময়ের দাবি।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক