দিনাজপুরে আগামী দিনের সোনালী স্বপ্ন দেখাচ্ছে সুস্বাদু ও মিষ্টি আপেল চাষের সফলতা। এ বছর অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক ফলন হয়েছে আপেলের। আগামী জুন-জুলাইয়ের দিকে এই আপেল খাওয়ার উপযোগী হবে। প্রথমবারের মতো আপেল চাষের এমন সফলতা দেখে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চারা নিচ্ছেন অনেকেই। জেলার বীরগঞ্জে বিভিন্ন আপেল বাগান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা বাগানে আপেল দেখতে ও এর স্বাদ নিতে ভিড় জমাচ্ছেন। বাণিজ্যিকভাবে ফল ও চারা বিক্রির আশায় বাগান গড়েছেন সুজালপুর ইউনিয়নের বর্ষা এলাকার ইমরুল আহসান। দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের এই সহকারী উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তার বাগান দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফল, সবজি, চারা ও কলম বিক্রির সেন্টার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার বাগানে এবার ব্যাপক আপেলের ফলন হয়েছে। তাই বাগান ঘিরেই আগামী দিনে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ইমরুল আহসানের চাষ করা ৩২টি আপেল গাছে থোকায় থোকায় আপেল ধরেছে। গত বছর দুটি গাছে ৫০টির মতো ফল আসে। কিন্তু এ বছর তার বাগানে ফলন হয়েছে বাম্পার। একই গাছে তিন জাতের আপেল ফল ধরেছে। ভারত, কাশ্মীরসহ বিভিন্ন দেশের আপেলের মধ্যে রয়েছে, গোল্ডেন ডোরসেট, কাশ্মীরি সামার ও স্মিথসহ ১২টি জাতের আপেল।
ইমরুল জানান, এখানে ৩-৪টি জাতের আপেল একই গাছে হয়েছে। চারা লাগানোর পর ফেব্রয়ারি-মার্চ মাসে এ গাছে মুকুল আসে এবং জুন-জুলাই মাসে ফল খাওয়ার উপযোগী হয়। আপেল চাষের জন্য তিনটি জাতের কিছু হরমোনাল ট্রিটমেন্ট লাগে, যেটা অনেকেই জানেন না। ফলে প্রচুর ফুল আসে কিন্তু ফল ধরে না। হরমোনাল ট্রিটমেন্ট সঠিকমাত্রায় প্রয়োগ করতে পারলে এ অঞ্চলে অনেক বেশি আপেল উৎপাদন সম্ভব।