টাইগাররা গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শেষ করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট জিতে। এরপর পাঁচ মাস পেরিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো টেস্ট খেলেননি নাজমুলরা। অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে। মার্চে আট জাতির চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলে বছর শুরু করেছে। চলতি মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলে আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা শুরু করছেন টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের পর পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজ শুরু হবে সিলেটে। ২০-২৪ এপ্রিল প্রথম টেস্ট সিলেটে এবং ২৮ এপ্রিল-২ মে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট। টেস্ট সিরিজ খেলতে ১৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে জিম্বাবুয়ে। নাজমুল হোসেনদের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হয়েছে গতকাল। মাত্র আট ক্রিকেটার প্রথম দিনের অনুশীলনে অংশ নিয়েছেন। ক্যাম্প শুরুর কথা ছিল ১২ এপ্রিল। কিন্তু প্রিমিয়ার ক্লাবগুলোর অনুরোধে অনুশীলন একদিন পেছায় বিসিবি। গতকাল সকালে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু হয়। প্রথম দিনের অনুশীলনে যোগ দেন আট ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত, তাইজুল ইসলাম, মুমিনুল হক সৌরভ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মুশফিকুর রহিম, নাহিদ রানা, খালেদ আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। পয়লা বৈশাখ বলে অনুশীলন আজ বন্ধ। প্রিমিয়ার ক্রিকেটের প্রথম পর্ব শেষে বাকি সাত ক্রিকেটার ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। আগামীকাল দুপুর ২টায় অনুশীলন হবে। টাইগারদের ক্যাম্প পরিচালনা করছেন হেড কোচ ফিল সিমন্সসহ সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ কোচিং প্যানেলের অন্য সদস্যরা। জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পরিচিত প্রতিপক্ষ। দুই দেশ ২০০১ সাল পরস্পরের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলেছে। এরপর সর্বশেষ খেলেছে ২০২১ সালে। হারারের ওই টেস্টটি টাইগাররা জিতেছিল ২২০ রানে। চরম বিপর্যয়েও ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এরপর টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান। দেশের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। তিনি এখন পর্যন্ত ৯৫টি টেস্ট খেলেছেন দেশের পক্ষে। ছন্দ ও ফিটনেস থাকলে মুশফিক বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলবেন। মুশফিকের টেস্ট ক্যারিয়ার নিয়ে হেড কোচ সিমন্স জানান, ‘মুশফিক যতদিন মনে করবেন, ততদিনই টেস্ট খেলতে পারবেন। কারণ তিনি প্রতিনিয়ত নিজেকে অন্যভাবে উপস্থাপন করেন।’ জিম্বাবুয়ে সিরিজে মুশফিকের সঙ্গে ফিরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। দুজনই ইনজুরির জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলেননি। স্কোয়াডে স্পেশালিস্ট পেসার চারজন- নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ, তানজিম সাকিব ও শরিফুল ইসলাম এবং দুজন স্পেশালিস্ট স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ।