চট্টগ্রামের আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড় থেকে এসে ফসল ও বাড়িঘরে আক্রমণ করছে হাতির পাল। এতে কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটেছে। তিন মাস আগে চারটি হাতি বাঁশখালীর বনে চলে যাওয়ার পর এলাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল। সম্প্রতি আবার হাতির আনাগোনা বাড়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে হাতির আক্রমণে কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান এবং আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ, বারখাইন, বটতলীম বারশতসহ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাতি তা ব চালায় ফসলি জমি, বসতঘরেও। ১৩ এপ্রিল চারটি হাতি বাঁশখালী বনে চলে যায়। এতে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু ২০ জুলাই সন্ধ্যায় আনোয়ারার গুয়াপঞ্চক লোকালয়ে একটি হাতিকে ঘুরতে দেখা যায়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বাঁশখালী জলদী বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ জানান, হাতিগুলো আনোয়ারা থেকে সরে গিয়ে চুনতি অভয়ারণ্যে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তিন-চারটি হাতি আনোয়ারায় ফিরে এসেছে। হাতিগুলোর জন্য গঠিত ৫০ সদস্যের একটি ইআরটি টিম রাতে পাহারা দিচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কেইপিজেডের উপমহাব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘হাতিগুলোর ফেরা আমাদের জন্য দুঃসংবাদ। হাতির কারণে কেইপিজেডে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ৩৫ হাজার শ্রমিকের যাতায়াত এখন হুমকিতে।’
আন্দোলনকারী নুরুল আজিম বলেন, ‘সাত বছরের বেশি সময় ধরে হাতির পাল আনোয়ারা-কর্ণফুলীর বিভিন্ন গ্রামে তা ব চালাচ্ছে। হত্যা করেছে প্রায় ২৪ ব্যক্তিকে। হাতিগুলো সরিয়ে নিতে বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনে বারবার আবেদন করেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। বাধ্য হয়ে চুনতি অভয়ারণ্যে হাতিগুলো ফিরিয়ে নিতে আন্দোলনে নামে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর মানুষ। দুই বছরের বেশি সময় ধরে পথসভা, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেও হাতি সরিয়ে নিতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি।’