নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জে বসুন্ধরা সিমেন্ট প্ল্যান্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সাবস্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মূল কারখানা নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও দমকলকর্মীদের আন্তরিক চেষ্টায় রক্ষা পায়। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
কারখানা সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জে অবস্থিত বসুন্ধরা গ্রুপের অন্যতম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও দেশের অন্যতম বৃহৎ সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডে গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানের ১৩২ কেভি সাবস্টেশনে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এতে সাবস্টেশনের সিটিসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে অবহিত করা হয় এবং তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক টিম, ফায়ারম্যান, নিরাপত্তা প্রহরী এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এ বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের উপমহাব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অগ্নিকাণ্ডে কারখানার ১৩২ কেভি সাবস্টেশনের সিটিসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়। কারখানার নিজস্ব দক্ষ জনবল এবং কারখানায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট মজুত থাকায় সন্ধ্যা আনুমানিক পৌনে ৭টার দিকে আগুন সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং হতাহতের ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়। তিনি আরও জানান, সাবস্টেশনের সিটি, অন্যান্য যন্ত্রাংশ এবং এ অগ্নিকাণ্ডের কারণে সর্বশেষ খবর পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া, পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকায় মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সিমেন্ট মিল কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার ব্রিগেডের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।