ভরা মৌসুমেও শরীয়তপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না। নদীতে জাল ফেলেও আশানুরূপ মাছ পাচ্ছেন না জেলেরা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। একই সঙ্গে ইলিশের সরবরাহ কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম বেড়েছে কয়েকগুণ।
শরীয়তপুরের জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার জেলে পরিবার ইলিশ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন। সবচেয়ে বড় মাছের আড়ত সুরেশ্বর ঘাটে যেখানে মৌসুমে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ মণ ইলিশ আসত, এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ৩ থেকে ৪ মণে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, নদীর নাব্যতা সংকট, পানি দূষণ এবং নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা ধরা-এসব কারণে ইলিশের দেখা মিলছে না। ফলে তারা ঋণ শোধ করতে না পেরে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ কম থাকায় চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। দাম এত বেশি যে অনেক ক্রেতা এখন ইলিশ কেনা থেকে বিরত থাকছেন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল্লা আল ইমরান বলেন, ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় জেলেদের সচেতন করা হচ্ছে। তবে নদীর নাব্যতা সংকট, চর জেগে ওঠা, পানি দূষণ এবং নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের কারণে মিঠা পানিতে ইলিশের বিচরণ কমেছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ