‘ইনসান কিসিসে দুনিয়া মে একবার মোহাব্বত করতা হ্যায়, ইস দর্দ কে লেকার জিতে হ্যায়, ইস দর্দ কে লেকার মরতে হ্যায়... পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া... যাঁর কণ্ঠে প্রেমের জন্য এমন আকুতি দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারিত হয় তিনি হলেন বলিউডের সর্বকালের সেরা সুন্দরী ও প্রেমের দেবী অভিনেত্রী মধুবালা। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে তাঁর জন্ম হয়েছিল বলেই হয়তো তাঁর ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়েছিল চলচ্চিত্র, দর্শক, নির্মাতা, সহশিল্পী এমনকি পুরো দুনিয়ায়। তাই তো আজও প্রেমের দেবী ভেনাসের সঙ্গে কারও তুলনা করতে গেলে প্রথমেই নির্দ্বিধায় চলে আসে মধুবালার নাম। সবার হৃদয়জুড়ে প্রেমের এক অপ্সরা দেবী হয়ে আছেন তিনি। থাকবেন চিরকাল।
মধুবালার যত প্রেম
মধুবালার জীবনে প্রেমের তরি ভিড়িয়েছিলেন অনেক পুরুষ। তার মধ্যে অভিনেতা দিলীপ কুমারের নাম বোধহয় সবচেয়ে বেশিবার এসেছে। এ জুটির প্রথম দেখা হয় ‘জোয়ার-ভাটা’ ছবির সেটে, ১৯৪৪ সালে। ১৯৫১ সালে দিলীপ কুমারের সঙ্গে ‘তারানা’ ছবিতে অভিনয়ের সময় তাঁরা একে অপরের প্রেমে পড়েন। বাস্তবে এ জুটির সম্পর্ক ছিল পাঁচ বছর। বিয়ে পর্যন্ত না গেলেও এনগেজমেন্ট সম্পন্ন হয়েছিল তাঁদের। বিয়ের জন্য দিলীপ কুমার নাকি মধুবালাকে দুটো শর্ত দিয়েছিলেন। এক. বিয়ের পর নিজের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না। দুই. অভিনয় ছাড়তে হবে। পর্দা জীবন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে পারলেও পরিবার ছাড়তে রাজি ছিলেন না মধুবালা। এরপরই ভেঙে যায় তাঁদের সম্পর্ক। মধুবালার জীবনে প্রেমিকদের তালিকায় ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো। ১৯৫৮ সালে ভুট্টো যখন পাকিস্তানের মন্ত্রী হন তখনই তিনি ভারতে যান। সেই সূত্রেই অনিন্দ্যসুন্দরী অভিনেত্রী মধুবালার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। কিন্তু এ সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।
কিশোর কুমারের সঙ্গে বিয়ে
দিলীপ কুমার আর ভুট্টোর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সমাধি রচনার পর ১৯৬০ সালে মধুবালা বিয়ে করেন গায়ক-নায়ক কিশোর কুমারকে। মধুবালাকে নিয়ে তাঁর বোনের লেখা জীবনীতে জানা যায়, কিশোর কুমারকে বিয়ে করলেও তিনি দিলীপ কুমারকেই ভালোবাসতেন। এমনকি দিলীপ কুমারকে দেখানোর জন্যই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।