উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীসহ চার নেতা। তারা হলেন- সাবেক আলোচিত শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় রোকেয়া হলের সাবেক ভিপি নাজমুন নাহার বেবী, মালয়েশিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন ও সিঙ্গাপুর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী জেলা জামায়াত সদস্য মুহাদ্দিছ আবু নসর আশরাফী ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতি ওমর ফারুক ইব্রাহিমী। জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. এ কে এম শহিদুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মো. হাবিব খান। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেন, ড. মহীউদ্দীন খানকে চ্যালেঞ্জ করে দুই দফা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়ে দেশে নকলমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করেছি। স্বৈরাচারী সরকারের ৩৬টি মামলায় ১৬ মাস কারাবরণসহ টিভি চ্যানেলে টকশোসহ বিভিন্ন জাতীয় ফোরামে বিএনপির হয়ে অংশ নিয়েছি। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে বিশ্বাস করি।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহসভাপতি নাজমুন নাহার বেবী বলেন, ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রদল ও বর্তমানে মহিলা দলের হয়ে কাজ করছি। রাজপথে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বহু মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। তবুও আদর্শচ্যুত হইনি। দল অবশ্যই বিষয়গুলো বিবেচনা করবে। বিএনপির মালয়েশিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছি। কচুয়ায় কেন্দ্রীয় সব কর্মসূচি পালন ও দলকে সুসংগঠিত করেছি।
সিঙ্গাপুর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান বলেন, কচুয়ায় স্বৈরাচার সরকারের নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছি। জেলা জামায়াত সদস্য মুহাদ্দিছ আবু নসর আশরাফী বলেন, মানুষ সৎ লোকের শাসন চায়। জনসংযোগ কালে সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ইসলামী আন্দোলনের মুফতি ওমর ফারুক ইব্রাহিমী বলেন, এবার বিনা বাধায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণ পরিবর্তন চায়।