মিরপুরে কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা অধ্যায় শেষ। নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে টনি হেমিংয়ের। দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবারের মতো উইকেট বানিয়ে আলোচনায় অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত এই কিউরেটর। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ শুরু আজ। খেলাগুলো হবে মিরপুর স্টেডিয়ামে। সিরিজের জন্য পুরোপুরি কালো উইকেট বানিয়েছেন হেমিং। ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত ওয়ানডে, টেস্ট, টি-২০ হচ্ছে মিরপুরে। কিন্তু এমন কালো রঙের উইকেটের কথা মনে করতে পারেননি কেউই। গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে দুই দুলের কোচ ও অধিনায়ক উইকেট দেখেছেন। টাইগার কোচ ফিল সিমন্স উইকেট দেখে মিডিয়াকে বলেন, ‘মিরপুরের উইকেট নিয়ে আপনারাই বেশি জানেন আমার চেয়ে।’ সফরকারী ক্যারিবীয় কোচ ড্যারেন স্যামি ওপরের কাভার সরিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে অনেকক্ষণ উইকেট দেখেন। অবাক হন। অধিনায়ক শাই হোপের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর মিডিয়াকে বলেন, ‘এমন উইকেট জীবনেও দেখিনি...’ গামিনির উইকেটে হালকা ঘাস রাখা হতো। যাতে উইকেট জমাট থাকে। হেমিং উইকেটে ব্যবহার করেছেন মাটি।
মিরপুর স্টেডিয়ামে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ মিলিয়ে ম্যাচ হয়েছে ২১৪টি। টেস্ট ২৮, ওয়ানডে ১২০ ও টি-২০ ম্যাচ হয়েছে ৬৬টি। এতগুলো ম্যাচ হওয়ার পরও মিরপুরের উইকেট নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। এই মাঠে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ দলগত স্কোর ৪ উইকেটে ৩৭০, ভারত ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিল। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলগত স্কোর ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান। ১৫ বার ৩ শতাধিক স্কোর হয়ে এখানে। দলগত সর্বনিম্ন স্কোর ৫৮। বাংলাদেশ দুবারই এ রানে অলআউট হয়েছিল। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে এই স্কোর করেছিল টাইগাররা। এখানে শয়ের নিচে ৫ বার আউট হয়েছে বাংলাদেশ।
হেমিং দায়িত্ব নেওয়ার পর সবারই প্রত্যাশা ভালো উইকেট বানানোর। তবে বিশ্বসেরা কিউরেটর চেষ্টা করেছেন, ভিন্ন ধাঁচের উইকেট বানাতে। মাটি বিশেষজ্ঞ হেমিং উইকেট বানাতে ঢাকার পাশের এলাকা থেকে মাটি এনেছেন। উইকেটে আচরণ অনেকটাই দুবাই ও রাওয়ালপিন্ডির মতো হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।