বাগেরহাটের মোংলায় অষ্টমশ্রেনীর ছাত্রী নীলা হোসেন ওরফে পাথকে (১৪) নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণসহ তা ভিডিও করে। পরে একাধিকবার ধর্ষণের পর আত্নহনের ঘটনায় মামলার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ ধর্ষক আসহাবুল ইয়ামিনকে (২৪) গ্রেফতার করেছে। আসহাবুল মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌযানে মাষ্টার মো সোহেল রানার ছেরে। গ্রেফতারকৃত আসহাবুলকে পুলিশ (শুক্রবার) বিকালে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রায় ৪ মাস আগে আসহাবুল ইয়ামিন মোংলা শহরের সামসুর রহমান রোড়ের বাসিন্দা আলী হোসেন বাচ্চুর মেয়ে স্থানীয় ইসলামী আদর্শ একাডেমির ৮ম শ্রেণির ছাত্রী নীলা হোসেন ওরফে পাথরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ) সুন্দরবনের করমজল পর্যটন স্পষ্টে নিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণসহ তা ভিডিও করে। এরপর ওই ধর্ষনে ভিডিও দেখিয়ে বøাকমেইল করে ওই স্কুল ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে নীলা আত্নহনন করে। এঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে আসহাবুল ইয়ামিনসহ তিনজনের নামে ধর্ষণ ও আত্মহননে প্ররোচনার দায়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে মোংলা থানা পুলিশ এজাহারটি রেকর্ড করেন। পুলিশ (শুক্রবার) অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী আসহাবুল ইয়ামিনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতকে বিকালে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। মামলার অন্য দুই আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী তৎপরতা চলাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম