অপারেশন করা অনেক রোগীর আইসিইউ শয্যার দরকার হয়। ফুসফুসের মারাত্মক সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক, বার্ন ইনজুরি, কিডনি ডায়ালাইসিস, ট্রমা এবং দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পাওয়া রোগীদের আইসিইউর প্রয়োজন হয়
চট্টগ্রামে সংকটাপন্ন রোগীর জীবন বাঁচাতে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) শয্যার জন্য হাহাকারের চিত্র দীর্ঘদিনের। সংকট কমাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে নতুন করে যুক্ত করা হচ্ছে আরও ১০টি আধুনিক সুবিধা সংবলিত শয্যা। চলতি সপ্তাহে এগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার কথা রয়েছে।
জানা যায়, চমেক হাসপাতালে ২০০৬ সালের ২৯ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে এনেসথেসিয়া বিভাগ। সেখানে চালু করা হয় ১০টি আইসিইউ শয্যা। পরে যুক্ত করা হয় আরও ১০টি শয্যা। এর পরও সংকট থেকে যায় আইসিইউর। এখন সেখানে আরও ১০টি শয্যা চালু করার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে শয্যা স্থাপনের সব কাজ প্রায় শেষ। বর্তমানে হাসপাতালে দুটি আইসিইউ ইউনিট আছে। এর মধ্যে চতুর্থ তলার ইউনিট-১ এ আছে ২০টি এবং নিচতলার ইউনিট-২ তে আছে ৩০টি। এখন চতুর্থ তলার ইউনিটে আরও ১০টি শয্যা যোগ করা হলে হাসপাতালে মোট আইসিইউ শয্যা হবে ৬০টি। চতুর্থ তলার ইউনিটে সার্জারি রোগী এবং নিচতলার ইউনিটে মেডিসিনের রোগীদের ভর্তি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া অ্যান্ড আইসিইউ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, চতুর্থ তলায় আরও ১০টি আইসিইউ শয্যা বসানোর কাজ প্রায় শেষ। চলতি সপ্তাহে চালু করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। সব মিলিয়ে হাসপাতালে এখন ৬০টি আইসিইউ শয্যা হবে। আশা করি, বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। তিনি বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে জনসংখ্যা অনুপাতে ২২০টি আইসিইউ শয্যার চাহিদা আছে। এখন ৬০টি হচ্ছে। তা ছাড়া, বর্তমানে নিউরো সার্জারি বিভাগ ও গাইনি বিভাগে ১০টিসহ মোট ২০টি এইচডিইউ শয্যা এবং ২০ পেডিয়াট্রিক আইসিইউ আছে। আগামীতে নিউরো সার্জারি বিভাগে ১০টি ও গাইনি বিভাগে ২০টি মোট ৩০টি আইসিইউ শয্যা তৈরির পরিকল্পনা আছে। পর্যায়ক্রমে আগামী দুই বছরের মধ্যে ২২০টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে।
জানা যায়, প্রতি মাসে প্রায় ৩০০ সংকটাপন্ন রোগী এই বিভাগে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রোগীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিকে ইতিবাচক বলছে হাসপাতাল। অপারেশন করা অনেক রোগীর আইসিইউ শয্যার দরকার হয়। ফুসফুসের মারাত্মক সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক, বার্ন ইনজুরি, কিডনি ডায়ালাইসিস, ট্রমা এবং দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পাওয়া রোগীদের হাসপাতালে আইসিইউর প্রয়োজন হয়।