নোয়াখালীতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সদর, কবিরহাট কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচরের ৪টি উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
টানা বৃষ্টি ও জলাবন্ধতার কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২শ’৫৩টি স্কুলসহ মোট ১৮শ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শনিবার পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি অসংখ্য মৎস্য খামারে ভেসে গেছে মাছ।
কয়েকটি খামারে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পানিতে তলিয়ে গেছে। আরএমএ মৎস্য খামারের মালিক ভিপি পলাশ জানান, বৃষ্টিতে আমার খামারের অসংখ্য মাছ পানিতে ভেসে গেছে। তবে জেলা শহর মাইজদীতে বিভিন্ন সড়কে শুক্রবার বৃষ্টি না থাকায় কমতে শুরু করেছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর সদর, কোম্পানীগঞ্জ, বেগমগজ্ঞ কবিরহাট, সুবর্ণচরে বেশি জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। মুষলধারে অব্যাহত বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। অনেকের বসতঘরে পনি ঢুকেছে। এই চারটি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর, রামপুর ও চর এলাহী ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী ও বামনী নদীর তীরবর্তী এলাকা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মুছারপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ সড়ক ডুবে গেছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে অনেক বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে লোকজন সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসরাত নাছিমা জানান, টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারনে ১২৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় শনিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, জলাবদ্ধতা ও বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখল মুক্ত করা হবে। জেলা শহর বিভিন্ন সড়কে শুক্রবার বৃষ্টি না থাকায় কমতে শুরু করেছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল