এক যুগে বদলে গেছে রাজশাহীর চিত্র। শিক্ষানগরীর পরিচিতির পাশাপাশি রাজশাহী এখন পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহর হিসেবে দেশজুড়ে প্রশংসিত। নগর ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক), আরডিএ, এলজিইডি ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে একযোগে চলছিল ৪০টিরও বেশি উন্নয়ন প্রকল্প। এর মধ্যে শহরের রাস্তাঘাট প্রশস্ত করা, নতুন ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, চারটি ফ্লাইওভারের কাজ ছিল অন্যতম। এসব প্রকল্পের কাজ চলছিল দ্রুতগতিতে।
তবে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে যায়। প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগ ঠিকাদার এলাকা ছেড়ে চলে যান, ফলে থেমে যায় অধিকাংশ কাজ। কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর আবার উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হলেও কাক্সিক্ষত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে না।
নগরবাসীর অভিযোগ, ফেলে রাখা কাজের কারণে রাস্তার বিভিন্ন অংশ খুঁড়ে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে বহু রাস্তা। যানবাহন চালক ও সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে জানান, এখন বর্ষা মৌসুমে শহরের রাস্তায় চলা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে, নতুন প্রশাসনের অধীনে অর্থ ছাড় ও কার্যাদেশ জটিলতায় প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে। তবে পর্যায়ক্রমে কাজগুলো গতি পাবে বলে দাবি তাদের। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোন্দকার আজিম আহমেদ জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে।
জনদুর্ভোগ এড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।